50%
একজন আলোকিত মানুষ
প্রকাশনী : মাকতাবাতুল ফুরকান
বিষয়: ইসলামী সাহিত্য ও সফরনামা, দ্বীনের দিকে ফেরার গল্প, প্রফেসর হযরতের বই
সংস্করণ: দ্বিতীয়
পৃষ্ঠা : 152
প্রচ্ছদ : হার্ড কভার
প্রকাশকাল: 2016-12-27
আইএসবিএন: 978-984-95997-2-2
ভাষা: বাংলা
বর্তমান সময়ের অন্যতম দ্বীনি ও ইলমী ব্যক্তিত্ব প্রফেসর হযরত মুহাম্মাদ হামীদুর রহমান সাহেব দামাত বারাকাতুহুম। হযরত মাওলানা মুহাম্মাদুল্লাহ হাফেজ্জী হুযুর রহমাতুল্লাহি আলাইহি এবং হারদুই হযরত মাওলানা শাহ আবরারুল হক সাহেব রহমাতুল্লাহি আলাইহির একজন বিশিষ্ট খলীফা। শৈশব থেকেই পিতা-মাতার অনুপম…
প্রকাশনী : মাকতাবাতুল ফুরকান
বিষয়: ইসলামী সাহিত্য ও সফরনামা, দ্বীনের দিকে ফেরার গল্প, প্রফেসর হযরতের বই
সংস্করণ: দ্বিতীয়
পৃষ্ঠা : 152
প্রচ্ছদ : হার্ড কভার
প্রকাশকাল: 2016-12-27
আইএসবিএন: 978-984-95997-2-2
ভাষা: বাংলা
বর্তমান সময়ের অন্যতম দ্বীনি ও ইলমী ব্যক্তিত্ব প্রফেসর হযরত মুহাম্মাদ হামীদুর রহমান সাহেব দামাত বারাকাতুহুম। হযরত মাওলানা মুহাম্মাদুল্লাহ হাফেজ্জী হুযুর রহমাতুল্লাহি আলাইহি এবং হারদুই হযরত মাওলানা শাহ আবরারুল হক সাহেব রহমাতুল্লাহি আলাইহির একজন বিশিষ্ট খলীফা। শৈশব থেকেই পিতা-মাতার অনুপম আদর্শে খুব সহনশীল এবং পরোপকারী অন্তঃকরণ নিয়ে বেড়ে উঠেছেন। মক্তব থেকেই দ্বীনি অনুভূতির সূচনা। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় বিস্ময়কর অভিজ্ঞতা অর্জনের পাশাপাশি কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছেন। পরবর্তীতে আল্লাহওয়ালাদের সোহবত, দুনিয়া বিমুখতা এবং উলামায়ে কেরামের প্রতি অগাধ ভক্তি ও শ্রদ্ধা তাকে একজন আদর্শ ও অনুসরণীয় ইসলামী ব্যক্তিত্বে পরিণত করে। সুন্নাতের পৌনঃপুনিক অনুকরণ ও অনুসরণে তার মধ্যে সাহাবায়ে কেরামের চরিত্রের বাস্তব প্রতিফলন পাওয়া যায়। তার সান্নিধ্যে সবাই এক অনুপমেয় মিষ্টতা ও শান্তি অনুভব করেন। এ কিতাবে তারই জীবনের কিছু স্মরণীয় ঘটনা এবং কয়েকটি বয়ান সংকলন করা হয়েছে। আশা করি, এ কিতাব পাঠককে আপ্লুত করবে, বিস্মিত করবে এবং দ্বীনের পথে আরও অগ্রসর হতে সহায়তা করবে ইনশাআল্লাহ। উল্লেখ্য, বইটি হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক সাহেব দামাত বারাকাতুহুম সম্পাদনা করে দিয়েছেন।
Original price was: 300.00৳ .150.00৳ Current price is: 150.00৳ .
admin –
একজন আলোকিত মানুষ
লেখক : মুহাম্মাদ আদম আলী
পাঠ্যানুভূতি লিখেছেন : Uzma Zakia; ১৬ নভেম্বর ২০২০
Maktabatul Furqan এর ‘একজন আলোকিত মানুষ’ বইটি প্রায় দেড়/দুই বছর আগেই হাতে এসেছিল আমার বড় ভাইয়ের মাধ্যমে। আলহামদুলিল্লাহ! এ অব্দি যতবারই পড়েছি, ততবারই নতুন করে অবাক হতে হয়েছে, ততবারই নিত্যনতুন ভাবনা এসেছে।
উপকৃত হওয়ার কথা এক লাইনে লিখে শেষ করা যাবেনা। সুতরাং এক লাইনে লিখে শেষ করার বোকামি না করে ছোট্ট করে বলি- আমাদের ছোট থেকে ছোট্ট ধাপগুলোতেও যে কতশত ইসলাহের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তা বোঝা যায় খাঁটি আর উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতই এই ব্যক্তিত্বদের দিকে চোখ বুলালে। বইটির পাঠক না হলে উপলব্ধি করা অসম্ভব।
আরেকদিকে, লেখকের শব্দশৈলী আকর্ষণীয়। শব্দের গাঁথুনিতে এত তাসীর যা পাঠকসমাজকে সহজেই কৌতুহলী করে।
.
বইটি দ্বিতীয়বার পড়ার সময় ‘আবার পেছন ফিরে তাকানোর’ মত লাইনগুলো আমি মার্ক করি। কিছু প্রয়োজনীয় লাইন আমি রিমাইন্ডার হিসেবে ডায়েরীতে টুকে রাখি। তারই মধ্যে একটি লাইন এখানে লিখে ফেলা যায়।
“ইলম কাফি নেহি, তাক্বওয়া চাহিয়ে” অর্থাৎ ইলম যথেষ্ঠ নয়, তাক্বওয়া (খোদাভীতি) চাই।
খুব সংক্ষেপে লিখি- একবার হরদুঈ হযরত মাওলানা শাহ আবরারুল হক সাহেব রহমাতুল্লাহি আলাইহি ১৯৮১ সালে ঢাকায় এলে প্রফেসর হযরত এর সাথে হাফেজ্জী হুজুর রহমতুল্লাহি আলাইহি -এর সাক্ষাতে যান। এক গাড়িতে তিনজন- হরদুঈ হযরত, প্রফেসর হযরত এবং ড্রাইভার। আজিমপুরের চৌরাস্তায় লাল বাতিওয়ালা সিগন্যাল পড়লে ড্রাইভার হালকা ব্রেক কষে আবার সজোরে টান দিল। হরদুঈ হযরত বেশ অবাক হলেন, বললেন, “লাল বাত্তি হ্যায়! রুখতে নেহি?” ড্রাইভার জবাবে বলল, “হুজুর, পুলিশ নাইক্কা”। প্রফেসর হযরত বুঝিয়ে বললেন যে ড্রাইভার বলেছে পুলিশ নেই। কিছুক্ষণ বাদে হরদুঈ হযরত ঘাড় ঘুরিয়ে হযরতের দিকে তাকিয়ে বললেন, “হাঁ ভাই, ইসি লিয়ে ক্যাহতা হ্যায়, ইলম কাফি নেহি, তাক্বওয়া চাহিয়ে”।
হরদুঈ হযরতের ছোট কথাটা অসামান্য হয়ে গেল। আল্লাহওয়ালাদের দৃষ্ঠিভঙ্গী এমনই। তাদের কথা আমাদেরকে হেদায়েতের দ্বার দেখিয়ে দেয়।
তাক্বওয়া বা খোদাভীতি না থাকলে ইলম কেবলমাত্র ইলমই থেকে যায়, আমলে আসে না আর মর্মও বুঝে আসে না।
কিতাবের একটু অংশ- “খোদাভীতি মানুষকে পাপকাজ থেকে ফিরিয়ে রাখে। নতুবা পণ্ডিত ঠিকই হয়, আল্লাহওয়ালা হয়না।”
.
মহান রব্বে কারীম আমাদেরকে আমলওয়ালা ইলম দান করুন এবং দ্বীনের সহীহ বুঝ দিয়ে আগে বাড়ার তাওফীক দান করুন।
রব্বুল ওয়াদুদ প্রিয় লেখকের চিন্তাশক্তিতে ও লেখায় অঢেল বরকত দান করুন এবং প্রিয় হযরতের নেক ছায়া আমাদের ওপর আরও দীর্ঘ করুন। আমিন ইয়া ওয়াজিদুল মাজিদ!